স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী কর্নার

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল৷ বাংলাদেশিদের স্বাধীকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা৷ সেইরাতে হানাদাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষকদের বাসা, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের৷ পাকহানাদার বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক গণকবর খুঁড়ে সেখানে শত শত লাশ মাটি চাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালায়৷ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সারারাত ধরে হাজার হাজার লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়৷ পুরানো ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয় নিহতদের লাশ৷ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে পটুয়াখালীতে বিলি করা হয়৷মিত্রবাহিনীর সহায়তা ছাড়াই প্রতিরোধ আর সম্মুখ যুদ্ধে শত্রুদের পরাজিত করে পটুয়াখালী জেলা সদর ব্যতীত সকল এলাকা মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে নেয়। তারা অবস্থান নেয় শহরের চারিদিকে। এ অবস্থা আঁচ করতে পেরে ৬ ডিসেম্বর রাতে নিষ্প্রদীপ কারফিউ জারি করে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাক সেনারা। পরদিন ৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করলে রাজাকার ও আলবদররা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালাতে থাকে। বিনা বাধায় মুক্তিযোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। দীর্ঘ ৮ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালীতে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মির্জাগঞ্জ থানার দায়িত্বে আলতাফ হায়দারের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ প্রথম প্রবেশ করে পটুয়াখালী শহরে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আনুগত্য প্রকাশ করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এইদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কমান্ডার আলতাফ হায়দার উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

2021-03-23-09-53-53fb904ae0617403f853932d44a13d66

‘তোমাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না’

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য আন্দোলনরত ছাত্রদের বুকে গুলি চালানো হয়৷ রফিক, সালাম, বরকতসহ অনেকে এদিন শহিদ হন৷ সেই তার সঙ্গে সঙ্গেই রচিত হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি৷

২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস৷ লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা, এই দিনে জাতি স্মরণ করছে বীর শহিদদের৷ স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস৷

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ – 

সংগ্রাম

২৫ মার্চের কালরাত থেকেই দেশে বর্বরতা শুরু হয় হানাদার বাহিনীর। তবে পটুয়াখালী ছিল ব্যতিক্রম। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্তাঞ্চল ছিল এই জেলা। এই সময়ে সংগ্রাম পরিষদ গঠন ও সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়ার সুযোগ পান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এই কাজে যিনি বড় ভূমিকা রাখেন, তিনি তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম এ আউয়াল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ লাইনস থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে এনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেন তিনি। এর জেরে পরে হানাদারেরা তাঁকে গুলিও করেন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

জেলা প্রশাসক এম এ আউয়ালের সাহসিকতা ও পরবর্তীকালে হানাদারদের হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট ও পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে প্রকাশিত কারা ছিল রাজাকার বইয়ে উল্লেখ আছে।

তা ছাড়া পুলিশ লাইনস থেকে আনা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপরে আনসার সদস্যদের গুলিবর্ষণসহ অনেক ঘটনার তথ্য মেলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা দুটি বইয়ে। এসব ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মুক্তিযুদ্ধে জেলা প্রশাসক এম এ আউয়ালের অবদান সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

পটুয়াখালী জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে সংগ্রাম পষিদের নেতৃত্বে ছিলেন সভাপতি- এডভোকেট কাজী আবুল কাসেম (জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি), সাধারণ সম্পাদক- আশরাফ আলী খান (জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক), হাফিজুর রহমান ফোকান মিয়া (আওয়ামী লীগের নেতা), এডভোকেট মোঃ আবদুল বারী (আওয়ামী লীগের নেতা), আবদুল করিম মিয়া (ভাষানী ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা), সৈয়দ আশরাফ হোসেন (জেলা ন্যাপের সভাপতি) ও কমরেড মোকসেদুর রহমান (কমিউনিস্ট পার্টির নেতা)। এদের মধ্যে কমরেড মোকছেদুর রহমান ছাড়া সকলেই আজ প্রয়াত। ২৬ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত একমাস পটুয়াখালী জেলা ছিল মুক্তাঞ্চল। এসময় সংগ্রাম পরিষদ বর্তমান মহিলা কলেজে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করে ৩শ মুক্তিযোদ্ধাকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করে। তত্কালীন জেলা প্রশাসক এম.এ আউয়াল এক্ষেত্রে অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি পুলিশ লাইন থেকে রাইফেল ও গুলি এনে তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। পরে এজন্য পাকহানাদাররা তাকে গুলিবিদ্ধ করে। তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

গণহত্যা চালায় যেভাবে

২৬ এপ্রিল’৭১, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা। পাক-হানাদারদের জঙ্গী বিমান ছুটে আসে পটুয়াখালীর আকাশে। শুরু হয় বিমান হামলা। চলে শেলিং আর বেপরোয়া গোলাবর্ষণ। একনাগাড়ে কয়েকঘন্টা বোমা হামলা চালিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে কালিকাপুর এলাকায় অবতরণ করে পাকিস্তানি ছত্রীসেনা। উন্মত্ত আক্রোশে হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র জনতার উপর, চালায় নির্বিচারে গণহত্যা। মারণাস্ত্রের ভয়ঙ্কর শব্দ, আক্রান্ত মানুষের আর্তনাদ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সবমিলিয়ে সৃষ্টি হয় এক নারকীয় পরিস্থিতির। অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করা হয় শহরের বাণিজ্যিক সমগ্র পুরান বাজার এলাকা। যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে মক্তিকামী জনতার লাশ। ঐদিনের গণহত্যায় তিন শতাধিক লোক শহীদ হয়। পাকসেনারা গুলিবিদ্ধ করে তত্কালীন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল আউয়ালকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে রাইফেল তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার।

ছত্রীসেনা অবতরণকালে কালিকাপুর মাদবার বাড়ির শহীদ হয় ১৭ জন, প্রতিরোধ করতে গিয়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে শহীদ হন ৬ জন আনসারসহ ৭ জন। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালিয়ে ও জেলখানার অভ্যন্তরে হত্যা করা হয় দেড় সহস্রাধিক লোককে। এদের অধিকাংশকেই দাফন করা হয় বিনা জানাজায় গণকবরে। মাদবার বাড়ির গণকবর, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের অদূরে আনসারদের গণকবর ও পুরাতন জেলখানার অভ্যন্তরের বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার নির্মম সাক্ষ্য বহন করে আছে আজো।

বেঁচে আছেন ৮ বীরাঙ্গনা

মুক্তিযুদ্ধকালে পাক-হানাদাররা যাদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেইসকল বীরাঙ্গনা ইটবাড়িয়া এলাকার ১৪ জনের মধ্যে ৮জন আজো বেঁচে আছেন সেই নরক যন্ত্রণার স্মৃতি নিয়ে। এয়ার ভাইসমার্শাল(অবঃ) এ.কে খন্দকারসহ সেক্টর কমান্ডরস ফোরামের নেতৃবৃন্দ ঐ এলাকায় গেলে এরা সকলে গণসাক্ষ্য দেন। ঘটনার দিনটি ছিল ৮ মে, দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পাক-সেনারা গানবোটে আসে পায়রা নদী পাড়ের ইউটবাড়িয়া গ্রামে। তারা নেমেই নির্বিচারে গুলি চালাতে চালতে গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। হত্যা করে ২৪ জনকে। অগ্নিসংযোগে পুাড়িয়ে ৪৩টি বাড়ি। তারা ধরে সার্কিট হাউজের ক্যাম্পে নিয়ে আসে ৩৫ জন গৃহবধূ ও যুবতীকে। এদের উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। আত্মস্বীকৃত ১৪ জন বীরাঙ্গনা হলেন-রুশিয়া বেগম, হাসন বানু, ভানু বিবি, হাচেন ভানু, মোনয়ারা বেগম, ময়ুর নেছা, ফুলবানু, রিজিয়া বেগম, ফুলভানু, জয়ফুল বিবি, সকিনা বেগম, জামিনা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও ছয়তুননেছা। এদের মধ্যে সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকারা বীরাঙ্গনা নামের খেতাব ছাড়া এদের ভাগ্যে জোটেনি আর কিছুই। তবে, সমপ্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেঁচে থাকাদের প্রত্যেককে নগদ ৫হাজার টাকা ও কিছু কাপড়-চোপড় সহায়তা দেয়া হয়েছে।

রণাঙ্গনে শহীদ হয় ৩৩জন মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধকালে বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহীন পটুয়াখালী জেলার ৩৩জন মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন-আমজাদ হোসেন সিকদার, তোজম্বর আলী গাজী, সিপাহী নুরুল হক, হাবিলদার হাফিজ উদ্দিন সিকদার, আঃ হক তালুকদার, আঃ ছালাম, আঃ রহমান হাওলাদার, আঃ মান্নান, আঃ কাদের জমাদ্দার, ইউছুফ আলী মৃধা, সিপাহী আবদুল করিম, ল্যান্স নায়েক মুজাফফর হাওলাদার, মোঃ আবদুল খালেক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, আলী আহমেদ খাঁ, শাহজাহান হাওলাদার, আবদুল মজিদ খান, আঃ রশীদ হাওলাদার, পিসি আনোয়ার হোসেন, আঃ খালেক, সিপাহী আবদুল মোতালেব, সিপাহী আবদুল কুদ্দুস, সুলতান আহমেদ, সিপাহী আবদুল খালেক, সোরাব আমীর হোসেন, নায়েক জয়নাল আবেদীন হাওলাদার, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, নায়েক আবদুল মালেক, সিপাহী ইউছুফ আকন্দ, সিপাহী চান মিয়া, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আবদুর রাজ্জাক ও সিপাহী মকবুল হোসেন।

প্রথম প্রতিরোধ মাদারবুনিয়ায়

পটুয়াখালী শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে তখনকার সময়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মাদারবুনিয়া গ্রামে ১১আগস্ট দুপুরে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বাধীন শাহজাহান ফারুকীর ৩৪ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধা দলের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় পাক সেনারা। গ্রুপ কমান্ডার হাবিলদার মতিয়ার রহমানের নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধারা তা প্রতিরোধ করে। এসময় শত্রুপক্ষের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হলে তারা পিছু হটে প্রায় একঘন্টার গোলাগুলিতে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিস্বল্পতার কারণে এবং জেলা সদর নিকটবর্তী হওয়ায় তারাও এসময় ঐ এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

পানপট্টির যুদ্ধ ও মুক্তাঞ্চলে

স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন

গলাচিপা থানা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে প্রমত্তা আগুনমুখা নদী পাড়ের একটি নিভৃত পল্লী পানপট্টি গ্রাম। ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি মুক্তিযোদ্ধা দল কে.এম নুরুল হুদা ও হাবিবুর রহমান শওকতের নেতৃত্বে এসে নিরাপদ এলাকা চিহ্নিত করে ক্যাম্প স্থাপন করেন পানপট্টি সাইক্লোন সেল্টারে। ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টার দিকে মেজর ইয়ামিনের নেতৃত্বে পাক-হানাদারদের একটি সুসজ্জিত বাহিনী আক্রমণ করে সেখানে। মুক্তিযোদ্ধারা যে যার মত করে অবস্থান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের তিনদিক থেকে আক্রমণে পাকবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে ও তাদের কয়েকজন হতাহত হয়। বিকাল ৪টার দিকে পিছু হটতে শুরু করে ইয়ামিন বাহিনী। এদিকে, ঐ এলাকার জনতা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে।

তারা জয়বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে এলাকা।

ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ